আজিজুর রহমান রাজু, ঈদগাঁও;
ঈদগাঁও খালে অবৈধভাবে ড্রেজার মিশিন দিয়ে মাত্রাতিরিক্ত বালি উত্তোলন পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, উপজেলার ঈদগাঁও খাল জোড়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। প্রতিদিন ৩০-৪০টি পয়েন্টে শতশত লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ডাম্পার ও বালুবাহী গাড়ি দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন ন করে পরিবহণ করছে ভয়াবহ একটি বালি থেকে চক্র যাদের হাতে বাদ যাচ্ছে না পাহাড়-পর্বত।
যত্রতত্র বালু উত্তোলনের ফলে ঈদগাঁও উপজেলায় চলমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করছে সচেতন মহল। সেই সাথ মানুষের চলাচলের রাস্তা ঘাট ধ্বংস হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। এসব বালি উত্তোলনের ফলে, নদী-তীরবর্তী গ্রামের মানুষের বসতভিটা ও কৃষি জমি ভেঙে নদীর গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে।এসব অবৈধ বালি উত্তোলনে ঈদগাঁও খালে সৃষ্টি হয়েছে শতশত গর্ত।
গজালিয়া আজি পাড়া, রাজঘাট, গজালিয়া, ভোমরিয়াঘোনা, সাত তারা ঢালা, পূর্ব গজালিয়া ঢালার মুখ, ফরেস্ট অফিস, ড্রেজার ও মেশন দিয়ে যত্রতত্রভাবে বালু উত্তোলনে নদীর পাড়ে ভাঙেন শুরু হয়েছে, ফলে নদীর গতি পথ পরিবর্তন হওয়ার শঙ্কার পাশাপাশি মানুষ বাড়ি ভিটে নদীর গর্তে তলিয়ে যাওয়ায় উপক্রম সৃষ্টি হয়েছে।
অবশেষে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারী বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রতিবাদ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (১৫ই আগস্ট) সকালে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ মিছিল করেন।
সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, নিজের ইচ্ছা মতো বালু উত্তোলন করছে। কিন্তু কারও যেন কিছু বলার নেই। এই বালু উত্তোলনের মাধ্যমে একদল মানুষ অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে, আর অন্যদিকে সরকারের কয়েকশ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হুমকির মুখে পড়ছে গজালিয়া এলাকায় সদ্য সংস্কারকৃত সড়কটি ধ্বংস করে দিয়েছে।
গুটিকয়েক লোকের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এভাবে সর্বনাশ মেনে নেওয়া যায় না। এ ক্ষতি রোধ করতে হবে। তাদের দাবি, অবিলম্বে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনের কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে কি না,সেটা তদন্ত করে বের করতে হবে। পরে তারা এসব কাজ করতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়েছেন বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। এভাবে বালি তোলা অব্যাহত থাকলে ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই শত শত বাড়িঘর ও ফসলি জমি ঈদগাঁও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয় করিম, নুরুল ইসলাম,রফিকসহ একাধিক জমির মালিক বলেন, কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না বালু ও মাটি উত্তোলন। এ বালু দিয়ে বাড়ি, রাস্তাসহ বিভিন্ন ভরাট কাজে ব্যবহার হচ্ছে। নদীতে গভীর করে বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে তার খেসারত দিতে হয় নদী পাড়ের জমির মালিকদের। ক্ষতি হয় ফসলি জমির। অনেক গাছপালা বাড়ি ভিটে তলিয়ে যায় নদীর গর্ভে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পশ্চিম গজালিয়া আজি পাড়া, রাজঘাট, গজালিয়া, ভোমরিয়াঘোনা, সাত তারা ঢালা, পূর্ব গজালিয়া ঢালার মুখ, ফরেস্ট অফিস,পানের ছড়া ঢালা,এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,অবস্থা অনেকটা মগের মুল্লুকের মতো।নিজের ইচ্ছা মতো বালু উত্তোলন করছে। কিন্তু কারও যেন কিছু বলার নেই। এই বালু উত্তোলনের মাধ্যমে একদল মানুষ অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে, আর অন্যদিকে সরকারের কয়েকশ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হুমকির মুখে পড়ছে।গজালিয়া এলাকায় সদ্য সংস্কারকৃত সড়কটি ধ্বংস করে দিয়েছে।
এই বিষয়ে ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবল চাকার মহোদয়ের সাথে কথা চলে তিনি জানান বালি উত্তোলনের ফলে যদি ক্ষয়ক্ষতি হয় সেখান থেকে বালি উত্তোলন বন্ধ করা হবে। স্থানীয়রা বলেন,অবৈধ বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের কবলে কয়েক বছর ধরে জিম্মি আমাদের সড়কটি, এই অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সংসৃষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।